Blog

Blue Cute Baby Photo Apparel Etsy Banner

দ্য ইয়োলো ওয়ালপেপার

উনবিংশ শতাব্দীতে নারীদের অত্যাচার বা অবহেলাকে পুঁজি করে নিজ লেখনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া চারলোট পারকিন গিল্ম্যানের সৃষ্টি ‘দ্য ইয়োলো ওয়ালপেপার’ (‘The Yellow Wallpaper) একটি কৌতূহলোদ্দীপক ছোটগল্প।গল্পটির বক্তা একজন নারী। উৎকৃষ্ট প্রতীকীবাদের মাধ্যমে গিল্ম্যান তার লেখনীতে পর পর ধারাবাহিকভাবে এঁকে গেছেন সমাজে নারীর অবস্থান ও মর্যাদার চিত্র। পরিশেষে পাঠককে অবাক করেছেন এই ভাবনায় যে, গল্পের নারী বক্তাটি কাগজের দেয়ালে পৃষ্ঠে থাকার মতোই তার স্বামীর কাছে ছিল খাঁচায় বন্দী এক পাখি, যে কিনা অনবরত খুঁজে চলেছে মুক্তির পথ। যুগে যুগে অনেক কিছু বদলে গেলেও সমাজে নারীর মর্যাদা ও অবস্থান নিয়ে আজও রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন। আর হয়তো তাই ১৮৯২ সালের এই ছোটগল্পের উক্তি-

At night in any kind of light, in twilight, candlelight, lamplight, and worst of all by moonlight, it becomes bars! The outside pattern I mean and the woman behind it is as plain as can be.

 

আজও নাড়া দেয় প্রতিটি নারী প্রতিবাদীর মনে।
দ্য বডি স্ন্যাচার

 স্কটল্যান্ডীয় কবি, ঔপন্যাসিক এবং ভ্রমণ কাহিনী রচয়িতা রবার্ট লুই বেলফোউর স্টিভেন্সন এর অন্যতম বিখ্যাত গোথিক ছোটগল্প ‘দ্য বডি স্ন্যাচার’ (The Body Snatcher) -এর পটভূমি মূলত ১৮২৮ সালে ঘটে যাওয়া একটি হত্যাকান্ড থেকে উদ্বুদ্ধ বা অনুপ্রাণিত। গল্পটিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কিভাবে দু’টি মেডিকেলের ছাত্র তাদের অ্যানাটমি প্রফেসরকে মৃতদেহ সংগ্রহ করে দিতে কবর পর্যন্ত করেছে ডাকাতি!

 

ডেজারিজ বেবি

“ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই দিনে ও রাতে, কারণ আরমান্ড কোনদিনই জানতে পারবে না তার সেই মা তাকে কতোই না ভালোবাসে, যে কিনা অভিশপ্ত ‘দাসত্ব সম্প্রদায়ের’ অন্তর্ভুক্ত।” উক্তিটি লেখক কেট চপিনের ‘ডেজারিজ বেবি’ (Désirée’s Baby) নামক ছোটগল্পের শেষ সংলাপ যা তিনি লিখেছিলেন ১৮৯২ সালে, আমেরিকাতে দাসত্বপ্রথা প্রতিষ্ঠিত হবার ২৭ বছরের মাথায়।

বর্ণবাদ ও লিঙ্গ বৈষম্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে থাকা সকল সম্প্রদায়ের উপর যে জুলুম বা অবিচার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে তারই এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই ছোটগল্প।
দ্য গিফট অফ ম্যাজাই

ও হেনরি ছদ্মনামের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আলোচিত ছোট গল্পকার উইলিয়াম সিডনী পোর্টার। তাঁর রচিত ‘দ্য গিফট অফ ম্যাজাই’ (The Gift of the Magi) (১৯০৬) বাংলাদেশে খুবই পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি ছোটগল্প।

গল্পে বড়দিনে পরস্পরকে শ্রেষ্ঠ উপহার দেওয়ার প্রয়াসে এক দম্পত্তি করেছিল কিছু ত্যাগ স্বীকার। আর এরই মাধ্যমে হেনরি পাঠকের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন প্রকৃত ভালোবাসার সংজ্ঞা।
রিপ ভ্যান উইংকেল

 মার্কিন ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, জীবনীকার, ইতিহাসবেত্তা ও কূটনীতিক ওয়াশিংটন আরভিং রচিত অধিক আলোচিত ছোটগল্প ‘রিপ ভ্যান উইংকেল’ (Rip Van Winkle) -এর একটি বিশেষ উক্তি,

I was myself last night, but I fell asleep on the mountain, and they’ve changed my gun, and everything’s changed, and I’m changed, and I can’t tell what’s my name, or who I am!

 

প্রকৃতপক্ষে পূর্ববর্তী রাষ্ট্রশাসকের শাসন থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করার ফলে আমেরিকাকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের অনন্য পরিচয় খুঁজে পেতে যে পোড়াতে হবে অনেক কাঠখড় তাই তিনি রুপক অর্থে বুঝিয়েছেন এই উক্তিতে।

দ্য ম্যাজিক শপ

নিষ্পাপ অথবা দোষী, ভালো কিংবা মন্দ কি আসলেও কোন মানুষ হতে পারে? নাকি এটা নিছকই মানুষের মনের উপলব্ধি বা প্রত্যক্ষকরণ?- বহুমুখী ইংরেজ লেখক হারবার্ট জর্জ ওয়েলস-এর ‘দ্য ম্যাজিক শপ’ (The Magic Shop) (১৯০৩) ছোটগল্পটি পাঠককের মনকে এমন প্রশ্নেই করে তুলবে দ্বিধান্বিত।

 

গল্পটির দুইটি প্রধান চরিত্র বাবা ও তার ছেলে কোন এক জাদুর দোকানে বিচরণ করতে করতে বাচ্চা ছেলেটি সবকিছুতেই খুঁজে পেয়েছিল ‘মজার’ বা ‘আকর্ষণীয়’ কোন ঘটনা, যেখানে তার বাবা দেখেছিল শুধুই ‘অমঙ্গল’ বা ‘কুলক্ষণ’। পৃথিবীকে ভিন্নভাবে দেখা এক শিশু ও তার বাবার মাধ্যমেই জর্জ ওয়েলস বুঝাতে চেয়েছেন ভালো বা খারাপ মানুষ বলে আসলে কিছু নেই, তফাৎ শুধু দৃষ্টিভঙ্গির।

দ্য হ্যাপি প্রিন্স

অস্কার ওয়াইল্ড ছিলেন একজন আয়ারল্যান্ডীয় নাট্যকার, ঔপন্যাসিক এবং কবি। তবে তিনি রচনা করেছেন ছোট গল্পও। এমনই এক বিখ্যাত সৃষ্টি ১৮৮৮ সালে রচিত ‘দ্য হ্যাপি প্রিন্স’ (The Happy Prince); প্রেম ও ত্যাগের এই অনন্য গল্পই মূলত সাহিত্যে ‘ছোটগল্প’ কে দিয়েছে ব্যতিক্রমী স্থান ও সংজ্ঞা।

 

ধন-সম্পদ ও প্রাচুর্যের মাঝে বড় হওয়া রাজপুত্র মানুষের দুঃখ দুর্দশায় জর্জরিত হয়েছিল মৃত্যুর পর এক ভাস্কর্যরুপে। এবং ভালোবাসার প্রকৃত সংজ্ঞা সে জেনেছিল তার প্রতিমার নিচে আশ্রয় নিতে আসা এক সোয়ালো পাখির থেকে।

দ্য সিগনাল ম্যান

 

ভিক্টোরিয়ান যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হিসেবে ক্ষ্যাত চার্লস ডিকেন্স ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক। ‘দ্য সিগনাল ম্যান’ (The Signal-Man) তার রচিত একটি অদ্ভুত ভুতুড়ে গল্প যেখানে রেল সিগন্যালে কর্মরত একজন বিচিত্র এক বর্ণালী দৃষ্টি দ্বারা হয়েছিল ভীতসন্ত্রস্ত।

দ্য টেল-টেল হার্ট

 

‘দ্য টেল-টেল হার্ট’ (The Tell-Tale Heart) গল্পটি মার্কিন কবি, ছোট গল্পকার, সম্পাদক, সমালোচক এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোমান্স আন্দোলনের অন্যতম নেতা এডগার অ্যালান পো রচিত এমন এক ছোট গল্প যার বক্তার নাম বা লিঙ্গ কোন কিছুই তিনি পরিষ্কারভাবে গল্পে উল্লেখ করেননি।

গল্পের পরতে পরতে বর্ণনাকারী একজন খুনি হওয়া সত্ত্বেও নিজের মানসিক সুস্থতা ও সদ্বিবেচনা তুলে ধরেছে বারংবার; যদিও খুনের বর্ণনা বা ধরণ পাঠককে বিপরীত কিছুই ভাবতে বাধ্য করে গেছে!

বিটুয়েন্টিফোর

 

স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের নামের সাথে প্রথমেই মাথায় নাড়া দিয়ে উঠে শার্লক হোম্‌সের গল্পসমূহ। তবে অসামান্য প্রতিভাধর এ লেখক হোম্‌স সিরিজের বাইরেও বিখ্যাত হয়েছেন তার ছোটগল্পের মাধ্যমে।

 

‘বিটুয়েন্টিফোর’ (B24), তিন বছর ধরে জেল খাটা এক খুনের আসামির গল্প যে কিনা প্রকৃতপক্ষে ছিল না প্রকৃত আসামি! তবে গল্প বয়ে চলার ধারায় এবং বক্তার উপস্থাপনায় পাঠক মন হয়ে ওঠবে আশ্চর্যান্বিত! অমিমাংশিত ব্যাকুলতায় প্রশ্ন তুলবে বাধ্য হবে, ‘আসল খুনি কে কি আসলেও তারা চেনে?’

লেখাটি নিয়ে মন্তব্য প্রদান করুন।

Your email address will not be published. Required fields are marked *